ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মশক নিধন কার্যক্রমের কেনাকাটায় স্বচ্ছতার প্রত্যাশা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৯
মশক নিধন কার্যক্রমের কেনাকাটায় স্বচ্ছতার প্রত্যাশা এডিস মশা নিধনে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

ঢাকা: ঢাকা সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রমের কেনাকাটা ও বাস্তবায়ন কাজ স্বচ্ছ থাকবে- এমনটাই প্রত্যাশা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর বেইলি রোডে অফিসার্স ক্লাবের উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকায় এডিস মশা নিধনে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমেই পরিবার, প্রাতিষ্ঠানিক তথা সার্বিকভাবে নগরের পরিচ্ছন্নতা বিকশিত হয়।

 

সিটি করপোরেশনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে দুদক কমিশনার বলেন, এবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য এনফোর্সমেন্ট নতুন সংযোজন।  

তিনি বলেন, এডিস মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের সমন্বিত অভিযানে  অফিসার্স ক্লাব, বাংলাদেশ স্কাউটস, সার্বিকভাবে পাশে থাকবে।  

‘এডিস মশার কারণে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ চরম বেদনার। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সচেতন হলে হয়তো এভাবে মূল্যবান প্রাণহানি ঘটতো না। ’

তিনি সিটি করপোরেশনের উদ্দেশ্যে বলেন, মশা নিধনের ওষুধ কেনা কিংবা যন্ত্রপাতি কেনা থেকে শুরু করে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে ন্যূনতম দুর্নীতি হোক এটা কমিশন প্রত্যাশা করে না। আমরা আশা করি এসব কাজে কোনো দুর্নীতি সংঘটিত হবে না, কেউ অভিযোগও করবে না, এমনকী কমিশনের অভিযোগকেন্দ্রের হটলাইন-১০৬ এ কেউ জানাবে না-দুর্নীতি হয়েছে। কারণ মহামূল্যবান প্রাণ রক্ষার এই মহৎ কাজ দুর্নীতির মতো জঘন্য অপরাধে কলঙ্কিত হোক দেশের কোনো বিবেকবান মানুষ তা প্রত্যাশা করে না। দুর্নীতি দমন কমিশনও তেমনটা আশঙ্কা করে না।

তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন ২৫টি সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি-অনিয়ম-হয়রানি প্রতিরোধে ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিমের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তার মানে এই নয় যে, ২৬ নম্বর টিম গঠন করে অন্য কোনো সংস্থার দুর্নীতি প্রতিরোধে এ জাতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে না। প্রয়োজন হলে এ জাতীয় প্রাতিষ্ঠানিক টিম আরও গঠন করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার বলেন, শুধু সিটি করপোরেশন নয়, দুদকের নজরদারি রয়েছে সর্বত্রই। দুদক এখন সর্বোচ্চ সক্রিয়। আগে যারা দুদককে দন্তহীন বাঘ বলতেন, তারা এখন আর এভাবে ভাবেন না। কারণ  কমিশনের বর্তমানে চলমান বহুমাত্রিক কার্যক্রমকে তারা অনুধাবন করছেন। দুদক দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে নিরন্তর চেষ্টা করছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর পরই সিটি করপোরেশনের মশক নিধনকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দুদক কমিশনার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মশক নিধন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। বিদ্যালয়টির অভ্যন্তরীণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দেখে দুদক কমিশনার বিদ্যালয়টির অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।  

এরপর তিনি পর্যায়ক্রমে বিয়াম স্কুল ও ঢাকা কলেজে মশক নিধন কার্যক্রমে অংশ নেন।  

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সচিব মো. ইব্রাহিম হোসেন খান, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনসার আলী খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
এসএমএকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।