বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) স্ত্রী কুলসুমকে আটক করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এরআগে, বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে উপজেলার রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের তেঘরিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কুলসুম বেগম উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মকলেছের মেয়ে। আর মিটুল হোসেন একই উপজেলার তেঘরড়িয়া গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মিটুল ও কুলসুমের মধ্যে চাচি-ভাতিজা সম্পর্ক ছিল। প্রায় আট মাস আগে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরির সুবাধে চাচি কুলসুমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মিটুলের। এক পর্যায়ে কুলসুম তার স্বামীকে তালাক দেন এবং ভাতিজা মিটুলকে বিয়ে করে ঘর সংসার শুরু করেন। কুলসুমের প্রথম পক্ষের একটি সন্তানও রয়েছে।
সম্প্রতি ঈদের ছুটিতে তারা দু’জন বাড়িতে আসেন। কিন্তু তাদের এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি মিটুলের পরিবার। এক পর্যায়ে মিটুলও ওই বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। পরে স্ত্রী কুলসুম বেগম বিয়ের প্রমাণপত্র দেখিয়ে গ্রাম্য সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে স্বামীর বাড়িতে ওঠেন।
এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এনিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। এর জের ধরে বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে স্বামী ঘুমিয়ে পড়লে স্ত্রী কুলসুম বেগম ব্লেড দিয়ে মিটুলের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। প্রথমে মিটুল মান সম্মানের ভয়ে পরিবারের লোকজনের কাছে বিষয়টি গোপন রাখেন।
পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে পরিবােরের লোকজন বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় এসে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্ত্রী কুলসুমকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কুলসুমকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মিটুলকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মিটুলের বাবা মোবারক আলী বাদী হয়ে পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
এনটি