এসময় নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে মশার লার্ভা খুঁজে পান তারা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই বাড়ির নির্মাণ কাজ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আব্দুল মালেক নামে এক ব্যক্তিকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিষা আহমেদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালিত হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের প্রসিকিউশন কর্মকর্তা বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) স্যানেটারি ইন্সপেক্টর সৈয়দ এনামুল হক জানান, ডেঙ্গু ও এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জুমার নামাজের পরে শহরের অক্সফোর্ড মিশন রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় এডিস মশার লার্ভার সন্ধানে ওই এলাকার সাতটি বাড়ির বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি করা হয়। এর মধ্যে অক্সফোর্ড মিশন এলাকার মেজর এমএ জলিল সড়কের একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। তবে বাড়ির মালিক পক্ষের কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি। তাই ওই ভবনে নির্মাণ কাজ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আব্দুল মালেক নামে ব্যক্তিকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে শুক্রবার চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমেছে। তবে বিগত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে একজন বেড়েছে।
হাসপাতালের রেকর্ড রুমের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৪৭ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) চিকিৎসাধীন ছিলেন ১৫৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪১ জন ডেঙ্গু রোগী। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছিল ৪০ জন। একই সময়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪৯ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বাড়ি ফিরে গেছেন ২৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া ৪১ জনের মধ্যে পুরুষ ২২ জন, নারী ১২ জন ও সাতজন শিশু। একই সময়ে বাড়ি ফিরে যাওয়া ৪৯ জনের মধ্যে পুরুষ ২৩ জন, নারী ১৫ জন ও ১১ জন শিশু।
গত ১৬ জুলাই থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৮০১ জন। একই সময়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন এক হাজার ৬৪৮ জন। এই সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ছয়জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৯
এমএস/আরবি/