গত ২২ আগস্ট সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে সড়কের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১১১ দফা সুপারিশের মধ্যে এটিও স্থান পেয়েছে। সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরি সভাপতি শাজাহান খানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি এ সুপারিশমালা হস্তান্তর করে।
এতে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা-২০১৭ যথাযথভাবে প্রতিপালন করে এ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা ও সর্বোচ্চ মোটরযানের সংখ্যা নির্ধারণের বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সুপারিশ করা হয়।
সুপারিশে শুধু রেজিস্ট্রেশনে উল্লেখিত এলাকাতেই ওই গাড়িটি রাইড শেয়ার করার সুযোগ রাখা, প্রতিটি রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে তাদের অধীনস্থ চালকদের সড়ক নিরাপত্তায় নিয়ম-কানুনের ওপর নিয়মিত প্রশিক্ষণ, যানজট কমানো ও শৃঙ্খলা জোরদারকরণে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কথাও বলা হয়।
সড়ক নিরাপত্তায় গবেষণাধর্মী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও রাইড শেয়ারিং কোম্পানির সহায়তায় বিআরটিএ এবং ট্রাফিক পুলিশকে বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে। আশু ও স্বল্পমেয়াদী ভিত্তিতে এ সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ছোট গাড়ির অতিরিক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যানজট ও দুর্ঘটনা কমানো যাবে বলে মনে করে কমিটি।
কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ১১১টি সুপারিশের মধ্যে আশুকরণীয় রয়েছে ৫০টি, স্বল্পমেয়াদী ৩২টি ও দীর্ঘমেয়াদী ২৯টি।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভায় এ সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৯
এমআইএইচ/একে