শনিবার (৩১ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টার দিকে ওই মোড়ের পুলিশ বক্সের সামনে এ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। দুই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, মন্ত্রী তাজুল ইসলাম একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাসায় ফেরার সময় তার গাড়ি যানজটে পড়ে। এসময় মন্ত্রীর প্রটোকলে থাকা এএসআই শাহাবুদ্দিন নেমে কনস্টেবল আমিনুলের সঙ্গে মিলে যানজট ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। তখনই বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়।
পরে মন্ত্রী আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে যান বলে জানান মাহমুদুল হাসান।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, বিস্ফোরণে কনস্টেবল আমিনুলের হাতের আঙুলে এবং এএসআই শাহাবুদ্দিনের দুই পায়ে আঘাত লেগেছে। তাদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. আলাউদ্দিন জানান, শাহাবুদ্দিনের বাম পায়ে হাঁটুর নিচে ককটেল বিস্ফোরণে ঢুকে যাওয়া স্প্লিন্টার বের করা হয়েছে। ওই আঘাতের কারণে তার পায়ের একটি চিকন হাঁড়ে ফ্র্যাকচার দেখা দিয়েছে। এই কারণে তার পায়ে প্লাস্টার করা হয়েছে, ডান পায়েও সামান্য ইনজুরি আছে। এছাড়া কনস্টেবল আমিনুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার হাতের আঙুলেও সামান্য চোট লেগেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ককটেল বিস্ফোরণে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, তবে দু’জনই আশঙ্কামুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৯/আপডেট ২৩৫৫ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এজেডএস/এইচএ/