এ ঘটনায় তিন পুলিশও সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার হ্নীলা জাদিমুরা ২৭ নম্বর ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে জানান, ভোর পৌনে ৬টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার ওসি-তদন্ত এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রোহিঙ্গা ডাকাত ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী নূর মোহাম্মদকে নিয়ে উপজেলার হ্নীলা জাদিমুরা ২৭ নম্বর ক্যাম্পের পাহাড়ি জনপদের তার বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা দস্যুরা পুলিশের ওপর গুলি চালিয়ে নূর মোহাম্মদকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহা (৩৬), কনস্টেবল আশেদুল (২১) ও অন্তর চৌধুরী (২১) আহত হন।
তিনি আরও জানান, এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে এবং তারা পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে চারটি এলজি, একটি থ্রি কোয়াটার রাইফেল, ১৮ রাউন্ড গুলি, ২০ রাউন্ড খালি খোসাসহ গুলিবিদ্ধ নূর মোহাম্মদকে উদ্ধার করা হয়। পরে গুলিবিদ্ধ নূর মোহাম্মদেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নূর মোহাম্মদ যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি বলেও জানান ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
এদিকে এই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও রোহিঙ্গা উগ্রপন্থি সংগঠনের স্বঘোষিত নেতা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
এসবি/ওএইচ