এদিকে তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে ওই বাসটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
দুর্ঘটনার পর সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয় চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কে সব ধরনের যান চলাচল।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর)সকালে শহরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চুয়াডাঙ্গা শহরের সাতগাড়ি এলাকার মুকুল মণ্ডলের ছেলে আশরাফুল ইসলাম পলাশ নিজেও একজন গাড়িচালক। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হন তিনি। পথে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর পরই আহত পলাশের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটি আটক করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কে বন্ধ করে দেয় সব ধরনের যান চলাচল।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধরা।
স্থানীয় বাসিন্দা খালিদ মণ্ডল জানায়, মেহেরপুর থেকে বরিশালগামী আলসানী পরিবহন নামে যাত্রীবাহী ওই বাসটির গতি ছিল বেপরোয়া। তাছাড়া বাসটি সড়কের লেন পরিবর্তন করে উল্টো পথে যাওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন জানান, বাসটির চালক ও হেলপারকে আটকের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
আরএ