মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে তাদের হাজির করা হয়। পরে আদালতের কার্যক্রম শেষে গ্রেপ্তার ছয় কিশোরকে যশোর শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে ১৮ সেপ্টেম্বর।
আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এ মামলার অভিযুক্তদের মধ্যে ছয়জনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় আদালত তাদের যশোর শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরা হলো- রিশান ফরাজী, তানভীর, চন্দন, অলি, নাজমুল ও শ্রাবণ। আর অন্য অভিযুক্তদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত চন্দন ও টিকটক হৃদয়ের জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তবে এ আদালতে মামলার মূল নথি না থাকায় কোনো আদেশ দেননি বিচারক। এছাড়া অভিযুক্ত শ্রাবণের স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত এজন্য কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার আদেশ দেন বলে এই জানান আইনজীবী।
১ সেপ্টেম্বর (রোববার) রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। একই সঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় মিন্নিকে ৭ নম্বর আসামি করা হয়।
২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে আহত করার পর বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
এসএইচ