২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বর্ধিত ফি ও সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিল দাবিতে আন্দোলনকারী কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর ওপর ওই দিন ছাত্রলীগ-পুলিশ অতর্কিত হামলা করে। এ সময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বাংলানিউজের রাবি করেসপন্ডেন্ট মঈদ উদ্দিন জানান, ঘটনার পরদিন মহানগরীর মতিহার থানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ ও ছাত্রলীগ পৃথকভাবে দু’টিসহ মোট ছয়টি মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে একটি মামলা ছিল বিস্ফোরক মামলা। যেখানে ১০৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৪৭৫ জনকে আসামি করা হয়। পরে ছাত্রলীগ তাদের মামলা তুলে নিলেও বিস্ফোরক মামলা প্রত্যাহার করেনি পুলিশ।
ওই মালায় মতিহার থানা পুলিশ ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে। মামলায় প্রায় সাড়ে তিন বছর পর ২০১৭ সালের ৭ মে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল হান্নান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ১৬ নেতাকর্মী, রাবি শিবিরের তৎকালীন সভাপতি আশরাফুল আলম ইমন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীসহ মোট ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পরে ২৯ মে আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলায় মোট ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এই মামলার রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়। এবং রায়ে ৩৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
এসএস/এসএইচ