ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ মানে শ্রদ্ধার বাংলাদেশ’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯
‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ মানে শ্রদ্ধার বাংলাদেশ’

ঢাকা: ১৯৭২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলেন। তার জবাবটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কেনিয়াতে গিয়ে দিয়েছেন। তিনি তার পিতৃভূমি কেনিয়ার জনগণকে বলেছেন, যদি তোমরা সামনের দিকে যেতে চাও, অগ্রগতি চাও, তাহলে বাংলাদেশকে অনুসরণ করো। কার বাংলাদেশ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তৈরি বাংলাদেশ। আর এখনকার বাংলাদেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। আর এই শেখ হাসিনার বাংলাদেশ মানে একটু সম্মান না, অনেক বড় শ্রদ্ধার বাংলাদেশ। 

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হল রুমে ‘প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতৃত্বে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৩০ ডলার, সেটা এখন এক হাজার ৯০৯ ডলার।

এক দশকে পৃথিবীর কোনো দেশ মাথাপিছু আয় চারগুণ বাড়াতে পেরেছে এমন দেশ নেই। ’

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা কেবলমাত্র একটা ডিজিটাল বাংলাদেশ নয় উল্লেখ করে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল পর্যায়ের বৈষম্য দূর করার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। দু/একটা দৃষ্টান্ত দেখলে দেখতে পাবেন যে, বাংলাদেশে মেয়েদের এক শতাংশ শিক্ষার হার ছিলো না, সেখানে শতকরা ৫৩ জন এখন শুধুমাত্র ছাত্রী। নারীদের ক্ষমতায়নের প্রশ্ন যদি দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন যে, বাংলাদেশ এখন অন্য যেকোনো দেশের দৃষ্টান্ত হতে পারে। ’

পাকিস্তান সামনের দিকে না গিয়ে পেছনের দিকে কেন যাচ্ছে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, এর সহজ সমীকরণ হচ্ছে বাংলাদেশ মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। দমন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ সত্যিকারের একটি প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে। আর পাকিস্তান মৌলবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে।

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম এই সেমিনারের আয়োজন করে। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলামিস্ট ফোরামের সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মিল্টন বিশ্বাস।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও কলামিস্ট মেজর জেনারেল (অব.) একে মোহাম্মদ আলী শিকদার, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আলী হাবিব, কলামিস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুব আলী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল ও সৌরভ জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
এমএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।