মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই’র প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা জানান।
বিএসটিআই মহাপরিচালক জানান, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ছয় মাসে বিএসটিআই থেকে দুই হাজার ৬১৪টি লাইসেন্স প্রদান/নবায়ন, এক হাজার ৩৭৬টি মোবাইল কোর্ট/সার্ভিল্যান্স টিম পরিচালনা, খোলাবাজার থেকে এক হাজার ৮৯৬টি নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা, ৭৪৩টি অবৈধ প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং দুই কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শহিদউল্লাহ, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও এসএসআরএম গ্রুপের ব্যবস্থপনা পরিচালক শেখ মাসুদুল আলম মাসুদ, সংগঠনের এক্সিকিউটিভ ডিরেকটর মো. শামসুল আলম খান, জিপিএইচ গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জমান, আরআরএম গ্রুপের চেয়্যারম্যান সুমন চৌধুরী ও বিএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আবুল মনসুর প্রমুখ।
এছাড়া বিএসটিআই’র পরিচালক (প্রশাসন) মো. তাহের জামিল, পরিচালক (মান) মো. সাজ্জাদুল বারীসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা রড উৎপাদনকারী অবৈধ কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। যার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তাদের আশ্বস্ত করেন বিএসটিআই মহাপরিচালক।
তিনি মানসম্মত পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিতে হলে কোনো কিছুকে বিচ্ছিন্নভাবে চিন্তা করার সুযোগ নেই। সরকারের পাশাপাশি বিএসটিআই, উৎপাদনকারী, আমদানিকারক সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
এসএমএকে/এসএ