সেখানকার স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এ আশ্বাস দিয়েছেন বলে অনুষ্ঠানে জানান প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
অনুষ্ঠানে মামুনের জীবনের উল্লেখযোগ্য দিক ও সাংবাদিকতা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন উপস্থিত অতিথিরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, মামুন আমার ছাত্র ছিল। তার মতো হাসিমুখের একজন ছেলে এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে তা ভাবা যায় না।
একুশে টেলিভিশনে মামুনের বিভিন্ন কার্যক্রমের স্মৃতিচারণ করে প্রখ্যাত সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, মামুন যে পর্যায়ে যেভাবে সাংবাদিকতা করতো চাইলে সহজেই অনেক টাকার মালিক হতে পারত। কিন্তু তার মাঝে সেই চিন্তাই ছিল না। তার মৃত্যুর পর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাত্র কয়েক হাজার টাকা ছিল।
আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল সাংবাদিক মামুনের স্মৃতিকে ধরে রাখতে যেকোনো ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, যুবলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক নাসিম রূপক, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দেব নন্দী, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন।
নড়াইলের লোহাগড়ায় জন্ম নেওয়া মামুনুর রশিদ ২০১৮ সালের এই দিনে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করা মামুন তখন একুশে টেলিভিশনে কর্মরত ছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী বিটের সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে এশিয়ান টিভি ও বাংলাভিশনেও কর্মরত ছিলেন মামুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
এমইউএম/এমএ