পতাকা বৈঠকের সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ৫৮ বিজিবির ধোপাখালী বিওপি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রেজাউল করিম, জীবননগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদসহ ১০ জন। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন গেদে বিএসএফ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসি সৌরভ সামন্তসহ ১০ জন সদস্য।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশি নাগরিক নিহতের ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ ও মরদেহ ফেরত চেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএসএফকে চিঠি পাঠানো হয়। এরপর বিএসএফ মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, বিজিবির কাছে নিহত নাজিমের মরদেহ হস্তান্তরের পর পুলিশের মাধ্যমে নিহতের পরিবারের কাছে রাতেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নাজিম উদ্দীনসহ ৭/৮ জন গরু ব্যবসায়ী চুয়াডাঙার জীবননগর উপজেলার রাজাপুর সীমান্তে গেলে ভারতের গেদে আমতলা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে নাজিম উদ্দীন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে বিএসএফ সদস্যরা তার মরদেহ টেনে-হেঁচড়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যান। পরে বিএসএফ নিহতের মরদেহ কৃষ্ণনগর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯
এএ