শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের আবাদচন্ডিপুর পানখালী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মহেশপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়েকে (২১) সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্রটি ভাল চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে।
জানা যায়, ওই গৃহবধূকে পাচারের ঘটনায় ২০১৮ সালের ১৫ আগস্ট তার মা সখিনা খাতুন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটির তদন্তভার শুরুতে পুলিশের ওপর থাকলেও সম্প্রতি তা সিআইডিকে দেওয়া হয়। সিআইডি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে এজাহার নামীয় একজনকে গ্রেফতার করলেও অল্প দিনের মধ্যে পাচারের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে পাচার চক্রটিকে চিহ্নিত করে।
এ বিষয়ে সিআইডির পরিদর্শক জাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পাচার চক্রের সদস্যরা অত্যন্ত চতুর। তারা ওই গৃহবধূকে পাচার করে নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রি করলেও কৌশলে নিজেদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য করে।
পাচার ঘটনার রহস্য উন্মোচনকারী এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, আজিজুল হককে গ্রেফতারের পরপরই ওই গৃহবধূকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে সম্মত হয়েছে ভারতে অবস্থানরত তার ছেলে আশিক।
আরও জানা যায়, আজিজুল হকের দুই ছেলে আশিক গাজী (৩২), আশরাফ গাজী (২৪), পানখালীর শহীদ গাজী, ঝিকরগাছার বাঁকড়া গ্রামের আব্দুল বারেকসহ কয়েকজন তার নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সংঘবদ্ধ এ চক্রটি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নারী ও শিশুদের ভাল চাকরিসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে আসছিল। আরও অন্তত ৭ জন নারী এ পাচার চক্রের মাধ্যমে ভারতে পাচার হয়ে বিভিন্ন নিষিদ্ধ পল্লীতে আটক রয়েছে বলে জানিয়েছে আজিজুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
আরএ