শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। গতকাল শুক্রবার রাতে অগ্নিদগ্ধ হয় নিশাত।
নিশাতের বড় বোন শিউলি আক্তার জানান, তারা যাত্রাবাড়ি বিবিরবাগিচা ১০নম্বর রোডে নিজেদের বাড়িতে থাকে। আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো নিশাত।
শিউলি আরও জানান, গতকাল রাতে বাবা বাচ্চু মিয়া ও নিশাত বাসায় ছিল। মা ফিরোজা বেগম বাসায় ছিলেন না। নিশাত তার বাবাকে বলে, তুমি এশার নামাজ পরে এসো। আমি তোমার জন্য নুডুলস রান্না করি।
এরপর বাচ্চু মিয়া নিশাতকে বাসায় রেখে মসজিদে নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে বাসায় এসে তিনি মেয়ের চিৎকার শুনতে পান। অনেকক্ষণ পরে নিশাত দরজা খুলে দিলে নিশাতের শরীরে আগুন দেখতে পান বাচ্চু মিয়া। আগুন নেভানোর চেষ্টা করে তিনি নিজেও দগ্ধ হন। পরিবারের ধারণা নুডুলস রান্না করতে গিয়েই দগ্ধ হয়ে নিশাতের মৃত্যু হয়েছে।
নিশাতকে দগ্ধ অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, নিশাতের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। মৃতদেহ বর্তমানে মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
এজেডএস/আরকে/এসআইএস