রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদেশটি প্রত্যাহার হয়।
বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশিদ জানান, বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের নির্দেশে ওই আট কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছিল।
ফলে তারা আগের পদেই পুনর্বহাল থাকলেন। আর আট প্রকৌশলীকে স্ট্যান্ডরিলিজের কারণ দুর্নীতি বলে প্রচার হলেও তা সত্য নয়। প্রশাসনিক বদলিজনিত কারণে তাদের স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন নির্বাহী পরিচালক।
পুনর্বহাল হওয়ায় ওই আট কর্মকর্তা হলেন- বিএমডিএ’র প্রধান কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শামসুল হোদা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. আবুল কাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) তরিকুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান, জয়পুরহাট রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন্ত কুমার বসাক, রাজশাহীর পবা জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাহাত পারভেজ ও দুর্গাপুর জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শামসুল আলম।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিএমডিএ কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মকর্তারা অভিযোগ তদন্ত শুরু করেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তারা ওই দফতরে অবস্থান করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালান। পরে সাত কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পান। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জব্দ করে তারা দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠান।
এদিকে, ওইদিন বিকেলে বিএমডিএ চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী এক আদেশে এই আট কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করেন। ওই আদেশ অনুযায়ী আজকের মধ্যেই তাদেরকে নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
এসএস/জেডএস