ঢাকা, রবিবার, ২৬ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

তেঁতুলিয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯
তেঁতুলিয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন করছে ভু্ক্তভোগী পরিবার। ছবি: বাংলানিউজ

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে একটি ভুক্তভোগী পরিবার। এমনকি চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ বসতবাড়ি ভাঙচুরও করা হয়েছে বলে জানা যায়।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনের বিরুদ্ধে এই লিখিত অভিযোগ করেন আব্দুল হামিদ নামে এক ভুক্তভোগী।  

আব্দুল হামিদ তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের বালুবাড়ি এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে।

লিখিত বক্তব্যে আব্দুল হামিদ বলেন, এক বছর আগে বাংলাবান্ধা মৌজায় আমি স্থানীয় সফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সাত্তারের কাছ থেকে ৬৫ শতক জমি ক্রয় করি। পরে গাছপালা রোপণ এবং মাটি ভরাট করে ৩টি টিনের চালা ও ৩টি বাংলা কুঁড়ে ঘর নির্মাণ করি। এমনকি ৬টি পাথর ভাঙা মেশিন দ্বারা পাথরের সাইড খুলে ব্যবসার কাজ করে আসতেছি।

জমি ক্রয়ের পর থেকেই বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন অল্প দামে তার কাছে জমি বিক্রির জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। আমার ব্যবসা চলাকালীন বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুদরত-ই-খুদা মিলন বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অন্যথায় আমার জমি দখল এবং সেখানে আমি ব্যবসা করতে পারবো না বলেও হুমকি দেয়।

তিনি আরও বলেন, পরে ২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন এবং তার দলবল আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা নেয়। পরবর্তীকালে চলতি বছরের ১৫ মে দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনের হুকুমে তার দলবল আমার জমি দখল করার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের বসতবাড়ি ভাঙচুর করে এবং ম্যানেজারসহ তার স্ত্রীকে তালাবদ্ধ করে রেখে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।

অন্যদিকে ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্থানীয়রাও। চেয়ারম্যান বর্তমানেও আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। যেকোন সময় আমার পরিবারের সদস্যদেরসহ আমাকে হত্যা করতে পারে এমতাবস্থায় আমি এবং আমার পরিবার মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

তেঁতুলিয়া থানা, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসকসহ উচ্চ পদের কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। উপায় না পেয়ে আদালতে মামলা করেছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান আমাকে তেঁতুলিয়া বাজারে ডেকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিস তোকে মামলা করার স্বাদ চিরতরে মিটাইয়া দেবো। মামলাটি বর্তমান তেঁতুলিয়া থানায় তদন্তাধীন রয়েছে।

আব্দুল হামিদ চেয়ারম্যান কুদরত ই-খুদা মিলনের প্রভাব থেকে দখলকৃত জমি ফিরিয়ে দিতে সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক, অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।