রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের পশ্চিম হরিণচড়া গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে, ডোমার ও নীলফামারী সদরের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
হরিণচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম জানান, রোববার ভোররাতে পশ্চিম হরিণচড়া গ্রামের জিতেন চন্দ্র রায়ের রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে জিতেন চন্দ্রের ৬টি ঘর, ২টি গরু ও ৬টি ছাগল, রিনা রানীর ২টি ঘর, বিশ^নাথ রায়ের ৬টি ঘর, গলিরাম রায়ের ৩টি, বিমল চন্দ্র রায়ের ৩টি, সুমন চন্দ্রের ৩টি, জগদ্বিস চন্দ্রের ৪টি, শুশিল চন্দ্রের ৩টি, লক্ষিকান্তের ৪টি ঘর ও নগদ ৩০ হাজার টাকা পুড়ে যায়।
এছাড়াও সত্যেন চন্দ্রের ৩টি, হরি শংকরের ৪টি ঘর ও নগদ ৬০ হাজার টাকা, জয়দেবের ৫টি ঘর, সুমিত্রা রানীর ২টি, অনিল চন্দ্রের ২টি, অধির চন্দ্রের ২টি, জয় শংকরের ১টি, ডালিম ইসলামের ২টি ও লোকনাথের ১টিসহ মোট ১৮টি পরিবারের ৫৬টি ঘরসহ গরু-ছাগল, ধান, চাল,পাট, আলু ও নগদ অর্থসহ ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বর্তমানে তারা ছেলে-মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।
নীলফামারী অগ্নি নির্বাপক কেন্দ্রে উপ-সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, খবর পেয়ে, ডোমার ও নীলফামারী সদরের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৭৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে খবর পেয়ে ডোমার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে দ্রুত ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
আরএ