রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী খাগড়াছড়ির মহালছড়ির প্রজ্ঞা বিদর্শন বৌদ্ধবিহার শ্মশানে সামাজিক নীতিনীতি শেষে তাকে সমাহিত করা হয়।
এ সময় পরিবারবর্গ, জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তি, লেখক, সাহিত্যিক ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার (৭ সেপ্টম্বর) সকালে রাঙামাটির তবলছড়িতে বড় মেয়ের বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ও ব্রেইন ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ওই দিন বিকেলে তার মরদেহ খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে নিজ বাসায় আনা হয়।
তার মৃত্যুতে স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, দৈনিক অরণ্যবার্তা সম্পাদক চৌধুরী আতাউর রহমান রানা, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবেরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন শোক প্রকাশ করেছেন।
২০১৬ সালে গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৬১ সালের ১৬ জুলাই কক্সবাজার শহরের রাখাইন পরিবারে জন্ম নেন।
১৯ বছর বয়সে ১৯৮০ সালে প্রকাশিত হয় মংছিনের প্রথম বই ‘কক্সবাজার রাখাইন ছাত্র সমাজ’। ৩৭ বছরের লেখালেখি জীবনে তার ২০টির মতো বই প্রকাশিত হয়েছে।
রোকেয়া পদকে ভূষিত শোভা রানি ত্রিপুরা ও দু’কন্যা সন্তানের জনক মংছেনছিন খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়িতেই বসবাস করতেন। পেশায় সাংবাদিক মংছিন ৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে রাঙামাটি থেকে প্রকাশিত দৈনিক গিরিদর্পন ও খাগড়াছড়ি থেকে প্রকাশিত দৈনিক অরণ্যবার্তা পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
এডি/এএটি