রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে পঞ্চগড় থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দর হয়ে ঢাকায় যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এবার উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়ার ফলে যারা দালালদের মাধ্যমে অবৈধভাবে দখল করে আছেন তারা নতুন করে লিজ নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, রেলওয়ের জমি ও অন্যান্য স্থাপনা নানাভাবে বেদখল হয়ে গেছে। আমাদের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে রেলওয়ের যেসব জমি দখলদারদের কবলে রয়েছে সেগুলো আস্তে আস্তে দখলমুক্ত করা হবে। উচ্ছেদের যে বিষয়টি এসেছে তা অবশ্যই করা হবে। রেলওয়ের উন্নয়নের প্রয়োজনেই এটা করা হচ্ছে। এভাবে দখলকৃত জমি, কোয়ার্টার এবং বাংলো দখলমুক্ত করে সেগুলো প্রয়োজনীয় কাজে লাগানো হবে।
যারা রেলওয়ের জমি বা কোয়ার্টার দখল বা বিক্রির সঙ্গে জড়িত আছেন তাদের কাছ থেকে দখলকৃত জমি ও কোয়ার্টার উদ্ধার করা হবে এবং এসব জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রেলওয়ের সম্পদ কারো ব্যক্তি সম্পদ নয়। এটা জনগণের তথা রাষ্ট্রের সম্পদ। তাই এ সম্পদ কুক্ষিগত করে কেউ ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে চাইলে তাদের কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।
বার বার উচ্ছেদ অভিযানের নোটিশ দেওয়া হলেও তা বার বারই থমকে গেছে। কিন্তু এবার কোনভাবেই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করা হবে না। যেকোন মূল্যে অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ করা হবেই। এক্ষেত্রে কোন প্রকার টালবাহানার সুযোগ নেই।
মন্ত্রী সৈয়দপুর রেলওয়ে সেতু কারখানার বেহাল অবস্থা সম্পর্কে বলেন, অচিরেই এই কারখানাটি সংস্কার করা হবে এবং নষ্ট হওয়ার পথে প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকার মেশিনপত্র আধুনিকায়নের মাধ্যমে কারখানাটি নতুন করে সচল করা হবে।
এসময় তার সাথে ছিলেন- নীলফামারী-১ আসনের এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র আখতার হোসেন বাদলসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
আরএ