বালিয়াটির স্থানীয়রা শিশুটির নাম রেখেছে শাকিল। এ নামে ডাকলে সাড়াও দেয় সে।
স্থানীয়রা জানান, শাকিল সারাদিন বাজারে ঘুড়ে বেড়ায়। তার আচরণে মুগ্ধ হয়ে সবাই তাকে স্নেহ করে। কিছু খেতে মন চাইলে সে ইশারায় বলে, কিন্তু কোনো কিছু জোর করে নেয় না। বালিয়াটির অনেকেই তাকে পোশাক কিনে দেয়।
বালিয়াটি বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী তারা মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, শিশুটি প্রথমে বাজারে ভিক্ষা করতো আর রাতে বিভিন্ন স্থানে ঘুমাতো, এ অবস্থায় দেখে আমার অনেক মায়া হলো। তার পর থেকে শিশুটি আমার কাছেই থাকে। শাকিল পুকুরের পানিতে গোসল করতে বেশি পছন্দ করে। আমি চাই এই শিশুটি যেন তার মা-বাবার কাছে ফিরে যেতে পারে, সেজন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই।
সাটুরিয়ার বালিয়াটি বাজার কমিটির সভাপতি মন্তোষ সাহা বাংলানিউজকে বলেন, এই ছোট্ট শিশুটির এখন থাকার কথা স্কুলে আর সে কি-না বাজারে ঘুরছে। প্রায় এক বছর যাবত শিশুটি আমাদের বাজারে আছে, কেউ কখনো খোঁজ-খবরও নিতে আসেনি। অনেকে ওর মুখের ভাষা শুনে বলে ওকি রোহিঙ্গা শিশু? আমরা বাজারের ব্যবসায়ীরা মানবিক দিক চিন্তা করে শিশুটিকে টাকা ও খাবার দেই।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাসরীন পারভীন বাংলানিউজকে বলেন, আমি এ শিশুটির বিষয়ে জানতাম না। শিশুটি মানসিক প্রতিবন্ধী নাকি রোহিঙ্গা শিশু, এ ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি। থানায় ইনফরমেশন দিচ্ছি এ শিশুটির বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
এইচএ/