প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এ সংক্রান্ত আইনটি পাকিস্তান আমল থেকে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত আছে। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার এবং ১৯৭৬ ও ১৯৭৯ সালে এটি সংশোধন হয়। আইনটি সামরিক আমলের হওয়ায় আপডেট করে বাংলায় করার সিদ্ধান্তে নতুন আইনটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অনুমোদিত মূলধন আগে ছিল মাত্র ৫ কোটি টাকা। এখন হবে ৫০০ কোটি টাকা। সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে যে অর্থ যোগান দেওয়া হবে সেটিই পরিশোধিত মূলধন। এখন সেটা বাড়তে বাড়তে ৪৫ কোটি টাকায় এসে থেকেছে। পরিশোধিত মূলধের বিষয়ে একটি পর্যবেক্ষণ আছে যে, আল্টিমেটলি সরকার এটা যোগান দিয়ে ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করবে।
কর্পোরেশনের পরিচালনা পর্ষদ আগের মতোই একজন চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালক নিয়ে গঠিত হবে তিনি বলেন, এখন সঙ্গে আরেকজন খণ্ডকালীন পরিচালক যুক্ত হবেন, যিনি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব হবেন। সভায় চেয়ারম্যানসহ তিনজন থাকলে কোরাম হবে।
বার্ষিক প্রতিবেদন দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে, যা পরবর্তী অর্থবছর শেষ হওয়ার ৬ মাস আগেই প্রণয়ন করতে হবে।
কর্পোরেশনের পাওনা আদায়ের জন্য নতুন ব্যবস্থাপনার কথা বলা হয়েছে। আগে কোনো সুনির্দিষ্ট বিধান ছিল না। এখন বলা হয়েছে, কর্পোরেশনের যদি কোনো পাওনা থাকে তবে সেটা ১৯১৩ সালের সরকারি পাওনা আদায় আইন অনুযায়ী আদায়যোগ্য হবে।
কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, পরিচালক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো লিগ্যাল স্ট্যাটাস দেওয়া ছিল না যে তারা কীভাবে গণ্য হবেন। এখন বলা হয়েছে, তারা পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে বা জনসেবক হিসেবে গণ্য হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস