ঢাকা, রবিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

নদী ও শহর রক্ষা করতে পারে বিন্না ঘাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯
নদী ও শহর রক্ষা করতে পারে বিন্না ঘাস সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শরিফুল ইসলাম। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: সড়ক, মহাসড়কের দু’পাশ, নদী ভাঙন ও শহর রক্ষা বাঁধে সিসি ব্লক, জিও ব্যাগ ও জিও টেক্সটাইলের পরিবর্তে ব্যবহার হতে পারে বিন্না ঘাস। এ ঘাস পুকুর পাড় রক্ষা ও পুকুরের পানি পরিষ্কারেও ব্যবহার হতে পারে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর)  রাজধানীর তেজগাঁওয়ের  সড়ক ভবনের কনফারেন্স রুমে বায়ো-ইঞ্জিনিয়ারিং মেথড ফর স্লপ স্ট্যাবিলাইজেশন: ইউজিং ভেটিভার শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শরিফুল ইসলাম এ সব কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতি।

সেমিনারের সার্বিক সহযোগিতা করেছে বসুন্ধরা সিমেন্ট।
 
শরিফুল ইসলাম বলেন, সিসি ব্লকগুলো নদী ও শহর রক্ষা বাঁধ থেকে এক সময় বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পতিত হয়। জিও টেক্সটাইল ও জিও ব্যাগ বিভিন্ন কারণে বাঁধ রক্ষায় স্থায়ী হতে পারে না। স্থায়ী না হওয়ার কারণগুলো মধ্যে রয়েছে স্থানীয়রা জিও টেক্সটাইল তুলে নিয়ে বাড়িতে ব্যবহার করে।
সেমিনারে অতিথিরা।  ছবি: ডি এইচ বাদল
তিনি বলেন, বিন্না ঘাস শুধু নদী, শহর ও পুকুর পাড় রক্ষা করে না। যেসব এলাকায় এ ঘাস চাষ হয়, সেখানে শুষ্ক মৌসুমে নিজেদের চাহিদা পূরণ করে অন্যান্য গাছপালার জন্য পানি সরবরাহ করে। বিন্না ঘাসের পাতা বাতাসকে দূষণমুক্ত করে, বাড়ির ছাদে ও বিদেশে হস্তশিল্পের কাজে ব্যবহার হয়। বিন্না ঘাসের শিকড় দিয়ে পারফিউম, সাবান, হারবাল পানীয় তৈরি হয়।
 
সেমিনারে বিন্না ঘাসের আরও নানা রকম কার্যকারিতা তুলে ধরেন প্রফেসর ড. শরিফুল ইসলাম।
 
অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা সিমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময় নতুন নতুন উদ্ভাবনী গবেষণায় সহায়তা করে থাকে। বসুন্ধরা সিমেন্ট মান সম্পন্ন হওয়ার কারণে সব সময় প্রকৌশলীদের ইতিবাচক ভাবে দেখেন। সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতি আয়োজিত এ গুরুত্বপূর্ণ সেমিনারে সহযোগী হিসেবে বসুন্ধরা সিমেন্ট পাশে থাকতে পেরে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছে।
সেমিনারে অতিথিরা।  ছবি: ডি এইচ বাদল
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালে উন্নয়নশীল দেশে যেতে হলে আমাদের দক্ষতা আরও বাড়াতে হবে। বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের দক্ষতা উন্নয়নে সব সময় সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি।
 
সেমিনারের চেয়ারপারসন সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর সবুর বলেন, যেভাবে নদী ও শহর রক্ষা বাঁধে জিও টেক্সটাইল, জিও ব্যাগ এবং সিসি ব্লক ফেলা হয়। তাতে আমাদের প্রকৃতিতে আঘাত পড়ে। প্রফেসর ড. শরিফুল ইসলামের দীর্ঘদিনের গবেষণার ফলাফল আমাদের মধ্যে তুলে ধরতে বসুন্ধরা গ্রুপ সহায়তা করেছে। এজন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ। কারণ এটি সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ। এতে বসুন্ধরা গ্রুপও ভবিষ্যতে লাভবান হবে বলে আশা করছি। এ ধরনের সেমিনার আমরা আরও করবো।
 
অনুষ্ঠানে মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক-৩ (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) সাসেক রোড কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার সন্তোষ কুমার রায়।
 
বসুন্ধরা সিমেন্টের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজার (টেকনিক্যাল সার্পোট) ইঞ্জিনিয়ার ইমাম আল কুদরত-ই-এলাহিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।  
         
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
এসই/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ