ঢাকা, রবিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটে এনে মা-মেয়েকে ধর্ষণ: বাবা-ছেলে গ্রেফতার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯
সিলেটে এনে মা-মেয়েকে ধর্ষণ: বাবা-ছেলে গ্রেফতার

সিলেট: খুলনার ত্রিশোর্ধ্ব এক নারীকে কিশোরী মেয়েসহ ধর্ষণের অভিযোগে খোকন মিয়া (২৮) নামে এক ট্রাকচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ধর্ষিত নারীর দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সিলেটের ওসমানী নগরের উমরপুর গ্রামের কামালপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
 
গ্রেফতার হওয়া খোকন মিয়া বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার ধননগর গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে।

অভিযানকালে ছেলেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অপরাধে তার বাবা জাহাঙ্গীর মিয়াকেও আটকের পর ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। জাহাঙ্গীর মিয়া কামালপুর গ্রামের জনৈক এক প্রবাসীর বাসায় তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে ছিলেন।  
 
পুলিশ জানায়, খুলনা মহানগর এলাকার দৌলতপুরের এক নারীকে (৩৪) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন খোকন মিয়া। এক পর্যায়ে মেয়েকে ছেড়ে কুদৃষ্টি পড়ে ওই নারীর কিশোরী (১৩) মেয়ের দিকে।  
 
গত ১৪ আগস্ট ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে ওসমানীনগরের কামালপুরে তার বাবার তত্ত্বাবধানে থাকা বাড়িতে রেখে ধর্ষণ করে। গত ৪ সেপ্টেম্বর গোপনে ওই কিশোরী তার মাকে ফোন করে আটকে রেখে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়।  
 
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ওই নারী খোকনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। এরপর খোকনকে গ্রেফতারে সোমবার ভোররাতে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করার পর তার বাবা জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে হামলা চালালে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায়। এতে খোকন ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। বর্তমানে সে পুলিশি পাহারায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর খোকনের বাবাকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
 
তিনি বলেন, পাশবিক নির্যাতনের শিকার অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
এনইউ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ