বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর ) দুপুর সাড়ে ১২টায় গাবতলী কাঁচাবাজারে অবস্থিত সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে বেলারুশ থেকে আমদানি করা যানবাহন পরিদর্শনে এসে এ মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, সময়ের ব্যবধানে ঢাকা শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে এটা বিচিত্র কিছু নয়।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে ডেঙ্গুর যে প্রাদুর্ভাব ছিল বর্তমানে তা অনেকটাই কমেছে। আমাদের দুই সিটি করপোরেশন জনগণকে সম্পৃক্ত করে কাজ করেছে বলেই ডেঙ্গু কমেছে। এডিস মশার লার্ভা যেখানে জন্ম হয়েছে সেখানেই ধ্বংস করা হয়েছে। ঢাকা থেকে গ্রামেগঞ্জে ডেঙ্গু মশার বিস্তার হতেই পারে। ডেঙ্গু রোধে এখন বছরব্যাপী কাজ করা হচ্ছে। এখন নভেম্বর-ডিসেম্বর নয় অথবা মার্চ-এপ্রিল নয় সারাবছরই ডেঙ্গু রোধে কাজ করা হবে।
সারাদেশের পৌরসভাগুলোতে এডিস মশা রোধে কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, এই চ্যালেঞ্জে বিশ্বব্যাপী। পৌরসভাগুলো সক্ষমতা বাড়াতে হবে। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের বেতন-ভাতার জন্য আন্দোলন করেছেন, আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি বলেছি আপনারা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করার কথা বলেন, অথচ নির্ভর করেন সরকারের উপর। তাহলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী কীভাবে হবে।
‘আপনাদের নিজস্ব আয় বাড়াতে হবে। যে দেশে মানুষের মাথাপিছু আয় প্রায় দুই হাজার ডলার, সেদেশের পৌরসভা পরনির্ভরশীল হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে আমি মনে করি। ’
পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমরা স্থানীয় সরকার থেকে পৌরসভাকে কিছু টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। আমরা টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচার করছি ডেঙ্গু রোধ করার জন্য। এটা তো শুধু ঢাকা শহরের জন্য না সারা বাংলাদেশের জন্য। ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে আমাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
আরকেআর/এএ