বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি পাহাড়ি জেলা রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দুদকের গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নাগরিক সেবা ও সুবিধাদি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ সমস্যাদি শ্রবণ ও নিষ্পত্তি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষে দুদক এ গণশুনানি’র আয়োজন করে।
সচিব বলেন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল শুধু সরকারি কর্মচারীদের জন্য নয়। এটা সবার জন্য। শুদ্ধাচার কৌশল চর্চা করলে দেশ এমনিতেই দুর্নীতিমুক্ত হবে।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালে দুদকে আইন প্রণয়ন করা হয়। অভিযোগ দিতে হটলাইন-১০৬ নম্বর চালু করেছি। এতে যে কেউ অভিযোগ দিতে পারেন। এছাড়া ডাকযোগেও অভিযোগ গ্রহণ করি। দুদক বেনামি পিটিশন ফেলে দেয় না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নিই।
গণশুনানিতে বাছাই করা ১৮টি অভিযোগের শুনানি হয়েছে। এরমধ্যে মাত্র পাঁচটি অভিযোগকারী গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। আর ১৩টিই ছিলো বেনামি।
এরমধ্যে- রাঙামাটি জেলা পরিষদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ৮-১০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ‘সোলার প্রজেক্ট’র সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ৭-১০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ, লাইসেন্স প্রাপ্তিতে ‘বিআরটিএ’র ঘুষ গ্রহণ, পেনশন প্রাপ্তিতে ২ শতাংশ হিসাবরক্ষণ অফিসে উৎকোচ গ্রহণ, পিআইও, এলজিইডি, বিদ্যুৎ বিভাগ, হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি সেবাখাতের অনিয়ম দুর্নীতি বিষয়ে অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন সচিব।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মাহমুদ হাসান, রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) শারমিন আলম, সহকারী পুলিশ সুপার জুনায়েত কাউছার, উপজেলা চেয়ারম্যান সামশুদ্দোহা চৌধুরী।
সভাপতিত্ব করেন- উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা (ইউএনও) শতরূপা তালুকদার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
এনটি