বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। ডিজঅ্যাবিলিটি ইনক্লুসিভ ডিজ্যাসটার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্ক ফোর্সের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন টাস্ক ফোর্সের প্রধান উপদেষ্টা সায়মা হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুর্যোগ বা বন্যার সময় পানি ঢুকে ঘর-বাড়ি ভেসে যায়। এ দুর্যোগের সময় লোকজনকে এবং গবাদি পশুসহ মালামাল অন্যত্র সরানোর জন্য যানবাহনের প্রয়োজন হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে জেনেছি, দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ত্রাণসামগ্রী দেওয়ার জন্য যানবাহন পাওয়া যায় না। এজন্য টাস্ক ফোর্সের উপদেষ্টা গত এপ্রিল মাসে জেনেভায় আয়োজন করে নৌযানের মডেল দেখিয়েছেন।
‘বাংলাদেশে ফিরে এসে নৌবাহিনীর সহায়তায় ডকইয়ার্ডে যে ইঞ্জিনিয়ার আছে তার সঙ্গে আলোচনা করে নানান সুবিধা-সম্বলিত একটি নকশা চূড়ান্ত করি, সেটা আজ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু শর্ত রয়েছে। সেটা হলো প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার উপযোগী করে তাদের মতামতের ভিত্তিতে নির্মাণ কাজ শুরু করা। ’
ডা. এনামুর রহমান বলেন, ডকইয়ার্ডে যে ইঞ্জিনিয়ার আছে তাকে বলা হয়েছে প্রতিবন্ধীদের মতামতের ভিত্তিতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু করে। তারা তিন বছরে ৬০টি নৌযান তৈরি করবে। প্রতি বছর ২০টি করে তৈরি করা হবে। নৌযানগুলো ১০ টন ক্যাপাসিটিসহ ১০০ জন লোক ক্যারি করতে পারবে। যানগুলো যে কোনো দ্বীপসহ চরাঞ্চলে নিয়ে যাওয়া যাবে। জাহাজগুলো যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। বন্যাকবলিত প্রতিটি জেলায় একটি করে নৌযান দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এবং পরে প্রতিটি উপজেলায় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রতিটি জাহাজ বানাতে ৪৫ লাখ টাকা করে মোট ২৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এজন্য কোনো টেন্ডার আহ্বান করা হবে না। জিটুজি ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
জিসিজি/এইচএ/