বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।
এ বিষয়ে সোহেল মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, ওই নারীর মুখমণ্ডল, মাথাসহ শরীরের অধিকাংশ স্থান পোড়া ছিল।
এর আগে নিহত নারীর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিজ উদ্দিন আহমেদ। সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, নিহত নারী মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তার পরিবার তাকে অনেকবার চিকিৎসা করিয়েছে। এরআগেও সে কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে পরিবার থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে নিহতের ভাতিজা মো. তানভির হোসেন জানান, তার ফুফু তানিয়ার দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিক সমস্যা ছিলো। কিছুদিন আগে শুলশানের একটি মানসিক হাসপাতালে তাকে সাড়ে ৪ মাস চিকিৎসাও করানো হয়েছে। এরআগেও তিনি কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি আরও জানান, বুধবার সবার অগোচরে রুমের দরজা বন্ধ করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তার ফুফু। পরে তার চিৎকারে পরিবারের অন্যরা দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরায় নিজেদের বাসায় আগুনে দগ্ধ হন দুদক পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের স্ত্রী তানিয়া ইসরাত। তৎক্ষণাৎ সিএমএইচে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে তানিয়ার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিলো। নিহত তানিয়া ১ ছেলে ও ১ মেয়ের জননী ছিলেন।
** অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুদক পরিচালক ইউসুফের স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
এজেডএস/ওএইচ/