মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনে এক বিশেষ সভায় এ কথা জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সভায় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বদ্ধ পরিকর। আমরা শহরে সুন্দর সুন্দর রাস্তা ও ফুটপাত করছি আর তা নিয়ে ব্যবসা হচ্ছে। কমিশনার (ডিএমপি) ও আমি দুইজন যদি এক থাকি তাহলে সফল হবো।
‘এক্ষেত্রে কোনো ব্লেমগেম চলবে না। প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, ফুটপাত দখলমুক্ত করে সুন্দর করার। আমরা তা করবোই। ’
ফুটপাত দখলদারদের উদ্দেশ্য করে মেয়র আতিক বলেন, অবৈধ স্থাপনা আপনারা নিজেরা সরিয়ে ফেলুন। ফুটপাত জনগণের। তাদের হাঁটতে দিন।
ফুটপাত থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদে পুলিশের সবরকম সহায়তা থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমি বেশি কথা বলি না, কম কথা বলি। আপনারা যদি চান ফুটপাত দখলে থাকবে না তাহলে থাকবে না। পুলিশের কোনো সদস্য চাঁদা নিয়ে ফুটপাত দখল হতে দেবে- এই সাহস পাবে না। তবে বাস্তবতা হচ্ছে হকারদের কোথাও বসার জায়গা দিলেও অন্যরা সেটি দখল করে নেয়। শেষমেষ রাস্তার মানুষ রাস্তাতেই থেকে যায়।
তবে ফুটপাত দখলমুক্ত করা সহজ হবে না জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত বাস্তবায়ন করতে গেলে বাঁধা আসবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। তবে রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা থাকলে আমরা সর্বাত্মক সাহায্য করবো।
‘একবার ফুটপাত দখল অবমুক্ত করার পর আবার ফুটপাত দখল হয়। সে বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে উল্টো ফুটপাতে বসার জন্য নির্ধারিত চাঁদার হার বেড়ে যায়’- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাহলে আপনারা আরও খবর প্রকাশ করুন। চাঁদার পরিমাণ বাড়তে বাড়তে অনেক বেশি হয়ে গেলে তারা এমনিতেই আর ফুটপাতে বসবে না।
সভায় জনপ্রতিনিধিরা ফুটপাত দখল উচ্ছেদ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন তারা।
উল্লেখ্য, ২২ সেপ্টেম্বর ডিএনসিসির অঞ্চল-১ অর্থ্যাৎ উত্তর খিলক্ষেত এলাকা দিয়ে শুরু হচ্ছে উচ্ছেদ অভিযান। একটি অঞ্চল পুরোপুরি দখলমুক্ত হওয়ার পর অন্য অঞ্চলে অভিযান শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
এসএইচএস/এমএ