মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
জুথিমালা ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের নবগাঙ্গা গ্রামের জয়নাল আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।
ধরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাবুল আলম লালু বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় জুথিমালার পরিবার তাকে ভেড়ামারার একটি প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করে। পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। রিপোর্ট পেয়ে তারা বাড়িতে চলে আসে। দুপুরে সে বেশি অসুস্থ্য হয়ে গেলে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) রেফার করে। পরে রাজশাহী নেওয়ার পথে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সে মারা যায়।
জুথিমালার মামা সম্রাট ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পরিবারের লোকজন মনে করেছিল, স্থানীয় কবিরাজের কাছে নিয়ে গেলে রোগ ভালো হবে। তাই তারা জুথিমালাকে বাড়িতে নিয়ে চলে আসে। এসে স্থানীয় এক কবিরাজের চিকিৎসা নিতে থাকে। মঙ্গলবার দুপুরে তার খিচুনি উঠলে তাকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে রাজশাহী নেওয়ার পথে বিকেলে সে মারা যায়।
এনিয়ে উপজেলায় মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে তিনজনের মৃত্যু হলো।
ডেঙ্গু জ্বরে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রওশন আরা খাতুন (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। রওশন আরা উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ঠাকুর দৌলতপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী।
এর আগে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মীনা খাতুন নামে আরেক নারীর মৃত্যু হয়। মীনা উপজেলার কাজিহাটা গ্রামের আবু রায়হানের স্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
এসএইচ