তিনি বলেন, সরকার কারখানার শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে বদ্ধ পরিকর। এক্ষেত্রে গাফিলতির কোনো সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সিরডাপ মিলায়তনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফ আয়োজিত শ্রম পরিদর্শকদের জন্য ‘মাদার্স অ্যাট ওয়ার্ক’ শীর্ষক ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়ের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম, অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো হোজুমি উপস্থিত ছিলেন।
ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ২৫ জন শ্রম পরিদর্শক অংশ নেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী, যেসব কারখানায় ৪০ জনের বেশি নারী কর্মী কাজ করেন সেখানে ডে-কেয়ার সেন্টার ও মাতৃদুগ্ধ কর্ণার থাকা বাধ্যতামূলক। কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টার এবং মাতৃদুগ্ধ কেন্দ্র স্থাপন দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ। যদি ডে-কেয়ার সেন্টারের অভাবে কোনো দক্ষ কর্মী চাকরি ছেড়ে যান তাহলে তা শিল্পের জন্য ক্ষতি।
তিনি বলেন, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি বিকল্প নেই। বেশি বেশি প্রশিক্ষণ শ্রম পরিদর্শকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গার্মেন্টস শিল্পের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে ৪ হাজার ৯০৭টি কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টার এবং মাতৃদুগ্ধ কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। শ্রম পরিদর্শকদের চেকলিস্টে ১০০টি প্রশ্নের মধ্যে ১০টি প্রশ্নই রয়েছে মাতৃত্ব নিয়ে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর মাতৃত্ব কল্যাণ সুরক্ষায় নানামুখী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
জিসিজি/এমএ