বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) গুলশান থানাপুলিশের কাছে খালেদকে হস্তান্তরের পর সেখানেই তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, গুলশান থানায় খালেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর যথাক্রমে ২৩, ২৪ ও ২৫।
এর মধ্যে অস্ত্র ও মাদক আইনে করা মামলা দুটির তদন্ত করবে পুলিশ। এ দুই মামলায় সাতদিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে খালেদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মানি লন্ডারিং মামলার নথি সিআইডিতে পাঠানো হচ্ছে, সেটি তারা তদন্ত করবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
আটকের পর খালেদকে আদালতে পাঠাতে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে ডিসি বলেন, তথ্য-উপাত্ত ও আইনের ধারা বিবেচনায় এজাহার সাজাতে সময় লাগায় আসামিকে আদালতে পাঠাতে কিছুটা দেরি হয়।
খালেদকে আটকের বিস্তারিত জানাতে গিয়ে ডিসি বলেন, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে গুলশানে খালেদের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি শটগান, দুটি পিস্তল, শটগানের ৫৭ রাউন্ড গুলি, পিস্তলের ৫৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সে সময় ৫৮৫ পিস ইয়াবা, নগদ ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫০ টাকা ও সাত লাখ টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয় বলেও জানান তিনি।
এদিকে, রাজধানীর মতিঝিল থানায় খালেদের বিরুদ্ধে আরও একটি মাদক মামলা (নম্বর-৩১) করেছে র্যাব। ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের ডিসি আনোয়ার হোসেন এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেন।
এছাড়া ওয়ান্ডার্স নামের একটি ক্লাবের ক্যাসিনোতে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় ক্লাবসংশ্লিষ্ট তিনজনকে আসামি করে ওই থানায় আরও একটি মামলা (নম্বর-৩০) করা হয়েছে বলে জানান আনোয়ার হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
পিএম/এইচজে