নিহত সংগ্রাম বাগমারা গ্রামের শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র ছেলে। তিনি চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা ‘ব্রাইড সি ফুডসের’ কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে পূর্বরূপসার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সড়কের হিমায়ন বরফ কলের (ছাদভাঙ্গা বরফ কল) অদূরে একটি চায়ের দোকানের সামনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সড়কের ছাদভাঙ্গা বরফ কলের সামনে দিয়ে অফিস শেষে বাড়ি যাচ্ছিল সংগ্রাম। এ সময় একদল কিশোর এসে তাকে গুপ্তি দিয়ে আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। কিছুদিন আগে সংগ্রামের একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের লিডার রাহাতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয়। যার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
নিহত সংগ্রামের বাবা মুজিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের গুপ্তির আঘাতে সারজিল ইসলাম সংগ্রাম নিহত হন। বামপাশে হার্টের ওপর গুপ্তির আঘাত করা হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সংগ্রাম মৃত্যুর আগে ঘাতকদের নাম বলে গেছে। এরা হচ্ছে গ্যাং লিডার রাহাত, অমিত, সাজু ওরফে সাধু ও সোহেল। সঙ্গে আরও দুইজন ছিলো যাদের না বলার আগেই সংগ্রাম মারা যায়।
খুলনা জেলা পুলিশের এডিশনাল এসপি মো. আনিচুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, দুপুর দেড়টার দিকে ব্রাইট সি ফুডসের সামনে সংগ্রামকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সোয়া ২টায় তার মৃত্যু হয়।
তবে প্রাথমিকভাবে হত্যার কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এমআরএম/ওএইচ/