খুলনা জিআরপি থানার বর্তমান ওসি মো. ফয়েজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আদালতের নির্দেশে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্ব) খুলনা জিআরপি থানার সাবেক ওসি উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, থানার মধ্যে গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম গত ৫ আগস্ট তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে, দেড় মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ওই কমিটি এখনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, গত ৫ আগস্ট খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অভিযোগকারী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। কিন্তু, এখনো তার রিপোর্ট হাতে পাইনি। রিপোর্টের জন্য হাসপাতালে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
গত ২ আগস্ট রাতে খুলনা জিআরপি থানায় এক নারী গণধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে, অভিযোগকারী খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩-এ ধর্ষণ মামলা দায়েরের আবেদন করেন। আদালত তার আবেদন আমলে নিয়ে খুলনা জিআরপি থানায় মামলা রেকর্ডের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এমআরএম/একে