ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘প্রধানমন্ত্রী টাকা-পয়সা কামানো পছন্দ করেন না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
‘প্রধানমন্ত্রী টাকা-পয়সা কামানো পছন্দ করেন না’ বক্তব্য রাখছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী টাকা-পয়সা কামানো পছন্দ করেন না। বিত্ত-বৈভবের প্রতি তার কোনো মোহ নেই। প্রধানমন্ত্রীর একটাই মোহ, দেশের সব পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করা।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রীড়াসামগ্রী ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার অবদান তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।

জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তার কারণে বাংলাদেশ অনেক উপরে উঠে এসেছে। আজ তিনি বিশ্বনেতা। যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভারতের নরেন্দ্র মোদী, জাপানের শিনজো আবেকে যেভাবে মূল্যায়ন করা হয়, শেখ হাসিনাকেও একইভাবে মূল্যায়ন করা হয়। তিনি দেশে ফিরে না আসলে আমরা হারিয়ে যেতাম, দেশের মানুষ হারিয়ে যেতো।

তিনি বলেন, ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর ওপর গ্রেনেড হামলা হলো। ভিডিও দেখলে বুঝবেন, স্বয়ং আল্লাহ নিজে প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষা করেছেন। আমার বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী যেন দেশের মানুষকে আরও বেশি সেবা দিতে পারেন, সেজন্যই তাকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমরা সবাই মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করবো যেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে আরও দীর্ঘায়ু করেন। তিনি আরও বেশি বেশি দেশের মানুষকে সেবা দিতে পারেন।

দেশের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে মুস্তফা কামাল বলেন, প্রতি পরিবারে অন্তত একটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার জন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, ২০২৭ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ২৬তম অর্থনীতির দেশ হবে। ২০৩০ সালে প্রতি পরিবারে একজন করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। দারিদ্রতা শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। এসময় মালয়েশিয়া-অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে পেছনে ফেলবো। আমরা বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে পারবো। এই অর্জনের ভিত করে দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু। শেখ হাসিনা সেই ভিত থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে ২১ ভাগ দরিদ্র রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দারিদ্রতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। ২০৩০ সালে দেশে দরিদ্র মানুষ খুঁজে পাবেন না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ। তার নেতৃত্বে দেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ অন্য দেশকে বলছে বাংলাদেশকে অনুসরণ করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী এখন বিশ্বনেতা। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ এক নম্বর। বিশ্বের ঋণ নেওয়ার দিক থেকেও আমরা পিছিয়ে। বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করছে।

শিক্ষাজীবনের স্মৃতিচারণ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্জন ধরে রাখতে তরুণ সমাজকে মন দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। আপনারা আমাকে অনুসরণ করতে পারেন। আমার জীবনের গল্প আপনাদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হবে। বেতন না দেওয়ার কারণে এসএসসি পরীক্ষায় আমার তিনবার নাম কাটা গেছে। গ্রামের মানুষ আমার ফি দিয়েছেন। গ্রামের হাবিবুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি আমার বেতন দিয়েছেন। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন। আমি লজিংয়ে থেকে লেখাপড়া করেছি, টিউশনি করেছি। আমি টিউশনি করে, লজিংয়ে থেকে লেখাপড়া করে যদি অর্থমন্ত্রী হতে পারি, তবে আমার সামনে যারা আছো- তোমরাও একদিন দেশের অর্থমন্ত্রী হতে পারবে।  

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
এমআইএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।