ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ঠাকুরগাঁওয়ে আগাম শীতের বার্তা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
ঠাকুরগাঁওয়ে আগাম শীতের বার্তা

ঠাকুরগাঁও: উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে শীতের আগমনী বার্তা বইতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে জেলাজুড়ে ঘন ঘন বৃষ্টি হওয়ায় হালকা শীতের প্রভাব পড়ে শুরু করেছে। মাঝরাতে মৃদু বাতাসে শরীরে ঠাণ্ডা অনুভব হচ্ছে। ভোরে শিশির ভেজা ঘাসও চোখে পড়ছে বেশ। বৃষ্টি শেষ হলেই ঠাণ্ডার প্রভাব ধীরে ধীরে বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

তবে গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতে ঠাকুরগাঁওয়ের কিছু কিছু নিচু জমির শীতকালীন আগাম শাকসবজির ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষকরা।

সবজি চাষি মেহেদী হাসান জানান, টানা কয়েকদিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার কারণে শাকসবজিতে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস আক্রমণ দেখা দিয়েছে।

বৃষ্টির পানি আর হালকা শীতের কারণে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস আক্রমণ হয়। ভাইরাসের কারণে ফলন কম হয় শাকসবজির। বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের জন্য কীটনাশক সার ব্যবহার করতে হয়। তাই উৎপাদন খরচও বেড়ে যায় এবং বেশি দামে সবজি বিক্রি করতে হয়। দিনে গরম থাকলেও মাঝরাতে মৃদু বাতাসে ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই মাঝরাতের পর থেকে হালকা শীতের কাপড় গায়ে না দিলেই ঠাণ্ডার অনুভূতি বাড়তে থাকে। শেষ রাত থেকে গায়ে চাদর দিয়ে ঘুমাতে হয়।

ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তোরাব মানিক বাংলানিউজকে জানান , কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে শীতের আগামনী বার্তা জানান দিচ্ছে। তাই এখন থেকে আমাদের শীতের প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে হবে। শুরুর আগেই যদি সরকার শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তাহলে হয়তো নিম্নশ্রেণির মানুষেরা শীত ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারবে। আমরা প্রতি বছর  দেখি শীতের মাঝামাঝি সময়ে যখন কঠিন ঠাণ্ডাটা চলে যায় তখন সরকারি-বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে শীতের বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বুলবুল আহমেদ জানান, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান যদি শীতের শুরুতেই শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করে তাহলে হয়তো নিম্ন আয়ের মানুষজনের দুর্ভোগে পড়তে হবে না। তাই সরকারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা শীত শুরু হওয়ার আগেই শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করি।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, কয়েকদিন ধরে টানা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে উঁচু-নিচু জমিতে পানি জমেছে। সবজি চাষের বৃষ্টির পানি ও শীতের কারণে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস দেখা দিতে পারে। কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ে কর্মীরা কৃষকদের কারিগরি সহায়তাসহ বিভিন্ন রকমের পরামর্শ দিচ্ছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করেন কৃষি বিভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।