বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার ব্যানারে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে প্রথমে মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে জাবি পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন, একজন শিক্ষক এমন কাজ করেছেন- আমি একজন শিক্ষক হয়ে নিজের কাছে লজ্জা অনুভব করছি। শিক্ষক যদি এমন কাজ করেন তাহলে শিক্ষার্থীরা তার কাছে কী শিখবে?
‘এর মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়। এই বিষয়টাকে সহজভাবে না নিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ’
পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন শিশির বলেন, আপনাদের (শিক্ষক) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমাদের দেখভাল করার জন্য, ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন করার জন্য নয়। আপনারা যদি এই কাজ করেন তাহলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিন্দু পরিমাণও ছাড় দেবে না। আমরা চাই ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সভাপতি সুস্মিতা মরিয়ম বলেন, একজন শিক্ষক হওয়ার জন্য যেসব গুণাবলী থাকা দরকার এরমধ্যে ওই শিক্ষকের কোনো গুণই নাই। তিনি শিক্ষক নন, তিনি একজন লম্পট। আমরা বলতে চাই যৌন নিপীড়ন কোনো নারীর লজ্জা নয়, লজ্জা হলো নিপীড়কের। আমরা এর বিচার চাই।
পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মারুফ মোজাম্মেল, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের কার্যকার সদস্য রাকিবুল রনি, সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক আবু সাঈদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নিপীড়নের ঘটনায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নাসরিন সুলতানার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। কিন্তু বিভাগ তা আমলে না নিয়ে বরং হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ ঘটনায় এক পর্যায়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রীতিলতা হলের নিজ কক্ষে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই ছাত্রী। পরে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে সাভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে ওই ছাত্রীর অভিযোগটি গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নিপীড়নবিরোধী সেলে’ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগের সভাপতি নাসরিন সুলতানা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
এমএ/