শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো বাণিজ্য, ভাবমূর্তি বিনষ্ট এবং খেলাধুলার মাঠে চরম ব্যর্থতার তীব্র প্রতিবাদ’ শীর্ষক আয়োজিত সংবাদ তারা এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন মোহামেডান ক্লাবের সাবেক খেলোয়াড় ও স্থায়ী সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অ্যাথলেট কমিশনের সদস্য মো. আবদুল গাফফার, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় মো. কায়সার হামিদ, মোহামেডান ক্লাবের সাবেক ফুটবলার সাব্বির আহমেদ, সাবেক গোলরক্ষক সাঈদ হাসান কানন ও মোস্তাকুর রহমানসহ অন্য সাবেক খেলোয়াড় ও স্থায়ী সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাকুর রহমান বলেন, বর্তমানে আদালত সর্বশেষ যে রায় দিয়েছেন সেখানে বলেছেন আগামী ২ মাসের মধ্যে মোহামেডান ক্লাবের নির্বাচন দিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সভাপতি আমিন উদ্দিনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি জানান, ২০১০ সালের পর এই ক্লাবে আর কোনো নির্বাচন হয়নি। ক্লাবটিকে জুয়ার আসর বানিয়ে ফুটবলকে ধ্বংস করা হয়েছে। এই ক্লাবটিকে যারা ধ্বংস করেছেন তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দীর্ঘ বছর মোহামেডান ক্লাব কোনো লীগে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি পায়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
মোহামেডানের সাবেক অধিনায়ক সাব্বির আহমেদ বলেন, মোহামেডানে আবার খেলাধুলা ফিরিয়ে আনতে হবে। লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার কারণে ক্লাবটির আজ এই দশা। এককভাবে তিনি ক্লাবটিকে কুক্ষিগত করে রেখেছেন। আমরা ভদ্র মানুষ। আমরা কোনো রাজনীতি করি না। এতদিন প্রকৃত খেলোয়াড় এবং স্থায়ী সদস্যরা ক্লাব থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পেছনে গেছে এই ক্লাবটি। এই ক্ষতি কীভাবে পোষাণো যাবে সেই প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্লাবের খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তা/কর্মচারীরা কি অবস্থায় আছেন, তারা খেতে পারছেন কিনা এসব বিষয়ে খোঁজ খবর নিতেই আমরা কাল ক্লাবে যাবো।
সাবেক ফুটবলার মো. আবদুল গাফফার বলেন, আগে মোহামেডান ছিল স্পোর্টিং ক্লাব। আর এখন অবৈধ ক্যাসিনো গড়ে উঠেছিল। তারা নিজেদের স্বার্থে এটা করেছে। তারা ক্লাবটিকে রাজনৈতিক দলে পরিণত করেছিল। গত ১৭ বছর কোনো চ্যাম্পিয়নশিপ ছিল না। আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এসব ক্লাব ছিল। পরবর্তীতে সেখান থেকে মতিঝিলপাড়ায় নিয়ে এসে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। অভিযুক্তদের সরিয়ে ক্লাবে পুরনো লোকদের ফিরিয়ে আনতে হবে বলে তিনি জানান।
মোহামেডানের রক্ষণভাগের সাবেক খেলোয়াড় কায়সার হামিদ বলেন, খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেখতে আমরা মোহামেডান ক্লাবে যাচ্ছি। এতদিন যারা কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন তারা ফুটবলের জন্য কোনো কিছুই করেননি। তাই ফুটবলকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে ফুটবলের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আমরা সবাই আবার কাজ শুরু করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস