শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়ায় বশেফমুবিপ্রবির অস্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের উদ্যোগে ‘উন্নয়নের রোল মডেল শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারের মুখ্য আলোচক প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে বাঙালি জাতি যখন ক্রান্তিলঘ্নে, তখনও দূর প্রবাস থেকে একমাত্র ভরসা হিসেবে পাশে ছিলেন শেখ হাসিনা। তার বাবা-মা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ স্বজনদের হারিয়ে বাংলার মানুষকে আপন করে নিয়েছেন তিনি। এখন তার লক্ষ্য একটাই- দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করা।
‘সেই ব্রত নিয়ে মানুষের কল্যাণে এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। মানুষের কথা বলতে গিয়ে তাকে বারবার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। জেলেও গিয়েছেন। কিন্তু তিনি দমে যাননি। বাংলার মানুষের প্রয়োজনে ঠিকই পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ’
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন শেখ হাসিনা। তার অসাম্প্রদায়িক, উদার, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানমনস্ক দৃষ্টিভঙ্গি তাকে দিয়েছে এক আধুনিক ও অগ্রসর রাষ্ট্রনায়কের স্বীকৃতি। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে উচ্চমর্যাদায় আসীন করে চলেছেন।
‘বাংলার মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন উন্নত বাংলাদেশের। তার ডেল্টা প্ল্যানসহ নানাবিদ পদক্ষেপের ফলে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ। আমরা তার সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি। ’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক ড. আল মামুন সরকার। তার প্রবন্ধে আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া নানা বিষয় ছাড়াও শেখ হাসিনার জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক আব্দুর রেজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এএইচএম মাহবুবুর রহমান।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহম্মদ শাহজালাল ছাড়াও শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এক শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে সবার মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
এমএ/