রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের ক্যাবিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১২তম বৈঠকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নিয়েছেন কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মো. আফছারুল আমীন, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, আহসানুল ইসলাম টিটু, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, ওয়াসিকা আয়েশা খান, মো. জাহিদুর রহমান প্রমুখ।
বৈঠকে পূর্ত অডিট অধিদপ্তরের দেওয়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের ২০১১-১২ অর্থবছরের হিসাব সম্পর্কিত বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট ২০১২-১৩ এ অন্তর্ভুক্ত সাতটি অডিট আপত্তির ওপর বিস্তারিত আলোচনা-পর্যালোচনা হয়। একই সঙ্গে দুইটি আপত্তি নিষ্পত্তির বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া অনিষ্পন্ন আপত্তিগুলোর ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া, দ্রুততার সঙ্গে ক্ষতিপূরণ আদায় এবং ভবিষ্যতে প্রাক্কলন তৈরি ও চুক্তি সম্পাদন তথা সামগ্রিক কার্য সম্পাদনে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের সিদ্ধান্ত দেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে কমিটির সভাপতি রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, চলমান প্রকল্পগুলোতে যেন দুর্নীতি না হয়, সেজন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ যেন উজ্জ্বল হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
এসকে/এসএ