রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে জনাকীর্ণ আদালতে আসামির উপস্থিতিতে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. রাকিব নূর হৃদয় (১৯)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর রাতে বান্দুটিয়া গ্রামের মাজেদুল ইসলাম মজিদের ছেলে মারুফ হাসান নয়নের বাড়িতে নয়ন, হৃদয় ও রাজু- তিন বন্ধু একসঙ্গে ঘুমায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ি যাওয়ার সময় হৃদয়ের মোবাইল ফোন খুঁজে না পেয়ে নয়নকে চুরির অপবাদ দেয়।
নয়ন মোবাইল ফোন নেয়নি বলে জানালে নয়নের সাঙ্গে হৃদয় ও রাজুর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হৃদয় নয়নকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়। পরের দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাইলীপাড়া এলাকার সামছুলের দোকানের সামনে হৃদয়কে ডেকে নিয়ে হৃদয় ও রাকিব নয়নকে প্রথমে কিল-ঘুষি লাথি মারে। এসময় নয়ন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হৃদয় তার বুকের ডান পাশে চাকু দিয়ে আঘাত করে মৃত ভেবে চলে যায়। এলাকাবাসী নয়নকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। নয়নের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিন পর ২৭ নভেম্বর রাতে মারা যায় নয়ন।
এ ঘটনায় ওই রাতেই নয়নের চাচা মো. ফরিদ আল মাহমুদ বাদী হয়ে হৃদয় ও রাকিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং মানিকগঞ্জ সদর থানার এসআই আশীষ কুমার সান্যাল ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর হৃদয় ও রাকিবকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত পিপি অাহসান হাবীব। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট একে এম অাজিজুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
আরএ