ভানু বিবি বালানিউজকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সোনালী ব্যাংকের শ্রীমঙ্গল শাখায় টাকা তুলতে যাই, সঙ্গে ছিল মেয়ে ঝর্ণা বেগম ও ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদির ওরফে চানু মিয়া।
‘কাউন্টারে চেক জমা দেওয়া হলে ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, এই পরিমাণ টাকা অ্যাকাউন্টে নেই, টাকা জমা হলে আপনাকে ডাকা হবে।
ভুক্তভোগী এ নারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, টাকা আমি নেইনি, তাহলে গেলো কই?
ভানু বিবি অভিযোগ করলে মৌলভীবাজার সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা থেকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় কর্মকর্তা আতিকুল ইসলামকে। তিনি বলেন, প্রিন্সিপাল অফিসে অভিযোগ আসার পর ডিজিএম স্যারের নির্দেশে ভুক্তভোগী ভানু বিবি, তার মেয়ে ও ভারপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি এবং সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করেছি।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের শ্রীমঙ্গল শাখার ব্যবস্থাপক মো. আবু আফফান বাংলানিউজকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার ভানু বিবি আমাদের ব্যাংক থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নেন। ঋণ নিয়ে পাসিং অফিসারের কাছে চেক জমা দেন। পাসিং অফিসার চেক পাস করার পর তা পেমেন্ট অফিসারের কাছে দেন। পেমেন্ট অফিসার ‘ভানু’ নাম ধরে ডেকেছিলেন।
তিনি বলেন, তার নাম ভানু বিবি। কিন্তু, চেকে লেখা শুধু ‘ভানু’। ডাক শুনে তিনি এগিয়ে আসেন। তখন, ভানুর সঙ্গে আরেকজন লোক ছিলেন। পেমেন্ট অফিসার টোকেন চাইলে ভানু বিবির পাশে থাকা লোকটি টোকেন এগিয়ে দেন। টোকেন মিলে যাওয়ায় পেমেন্ট অফিসার পাশের লোকটিকে টাকা দিয়ে দেন। এখন ভানু বিবি বারবার অভিযোগ করছেন, তিনি নাকি টাকা পাননি। পাশে কে ছিল, তিনি চেনেন না।
এ ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, পেমেন্ট অফিসার তো ভানু বিবিকে চেনেন না। কারণ, চেক পাস করেন পাসিং অফিসার, পাসিং অফিসারই গ্রাহকের ছবি ও সই মিলিয়ে দেখেন।
এখন কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এ প্রশ্নের জবাবে মো. আবু আফফান বলেন, মৌলভীবাজার প্রিন্সিপাল অফিসে অভিযোগ করা হলে সেখান থেকে কর্মকর্তা এসেছেন তদন্ত করতে। এখন দেখা যাক কী হয়! আশা করি, সিসিটিভির ফুটেজসহ বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণাদি দেখে শিগগিরই চিহ্নিত করতে পারবো আসল অপরাধী কে বা কারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
বিবিবি/একে