রোববার (২৯ সেপ্টেম্বের) বিকেলে রাজধানীর হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালে অনুষ্ঠিত পদক্ষেপ বাংলাদেশ আয়োজিত ছয় দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক ইলিশ, পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসব’ এর চতুর্থ দিনের সাংস্কৃতিক পর্বের অংশ হিসেবে আলোচনাসভা ও সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে দেশে ইলিশের উৎপাদন যেখানে ছিল ২ দশমিক ৯০ লাখ মেট্রিক টন, সেখানে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়ে ৫ দশমিক ১৭ লাখ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে, যা বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম সাফল্য।
প্রধান অতিথি বলেন, নববর্ষ ও বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ইলিশের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। ইলিশ জড়িয়ে আছে বাঙালির যাপিত জীবন, কল্পনা ও উদযাপনে। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে কখনও আর্য, কখনও সেন, কখনও তুর্কি, কখনও আফগান, কখনও মোগল কিংবা সবশেষ ইংরেজরা শাসন করেছে। কিন্তু বাঙালির ভাত খাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন হয়নি। আর মাছ তো বাঙালির কাছে অমৃত, বাঙালির জন্ম-বিয়ে-মৃত্যু পর্যন্ত সব জায়গায় কমবেশি মাছের উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। সেই সুবাদে জুটেছে ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ উপাধি।
কবি ও সাংবাদিক নাসির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সাবেক সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী, আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্রের সভাপতি বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন, কবি মাসুদুল আলম বাবুল, কবি বিমল গুহ প্রমুখ।
আয়োজনে ‘বাঙালি সংস্কৃতি ও মুজিববর্ষের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পদক্ষেপ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুন নিসা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
এইচএমএস/এএ