আর জনপ্রিয় এ সার্ভিসে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কুটুমবাড়ির কাচ্চি অর্ডার দিয়ে চিকেন বিরিয়ানি পেয়েছেন মহানগরীর বাসিন্দা নাজুমল হোসেন চৌধুরী। তিনি ৬৮/বি, কেডিএ এভিনিউয়ের আমিন প্লাজার ৫ম ফ্লোরের এস অ্যান্ড এ করপোরেশন ও স্বাধীন বাজারের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী এ গ্রাহক জানান, স্থানীয় রেস্তোরাঁ থেকে খাবার অর্ডার করার সুবিধা দিচ্ছে ফুডপান্ডা। এক্ষেত্রে গ্রাহকরা ফুডপান্ডার ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অর্ডারটি করতে পারেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবার পেয়ে যান। সোমবার দুপুরে অফিস মিটিং শেষ করার পর কাজ থাকায় খাবার খেতে বাইরে যেতে পারিনি। তাই খাবারের জন্য দ্বারস্থ হই ফুডপান্ডায়। সেখানে কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁর খাবার চল্লিশ শতাংশ ছাড় দেখে দুটি কাচ্চি বিরিয়ানি ১৯৬ টাকায় অর্ডার দেই। সেই সময়ে অর্ডার সরবরাহে ৩০ মিনিট সময় নেওয়ার কথা বললেও মূলত খাবার পেতে আরো বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু ডেলিভারি ম্যানের কাছ থেকে খাবার নেওয়ার পর অফিসে এনে খুলে দেখি অর্ডারে দুটি কাচ্চি বিরিয়ানি দেওয়া হলেও আসে একটি কাচ্চি ও একটি চিকেন বিরিয়ানি। যার মানও সন্তোষজনক নয়।
তিনি বলেন, এই জালিয়াতির কী বিচার হবে। কুটুমবাড়ির নম্বরে ফোন দিলেও কেউ রিসিভ করেনি। ফুড ম্যাসেঞ্জারের হেল্প ডেস্কে বলার পরেও কোনো সমাধান মেলেনি।
এই বিষয়ে ফুটপান্ডার ডেলিভারি ম্যানের নম্বরে ০১৯১৩৫৭৭৮১৮ যোগাযোগ করা হলে দেখা যায় এটি ট্রু কলারে সোহাগ নাম উঠছে। ওই ব্যক্তি জানান, তিনি শুধুমাত্র খাবার ডেলেভারি দেন, এর মান বা সমস্যার বিষয়ে কিছু করতে পারবে না।
কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁর খাবারের প্যাকেটে থাকা টিঅ্যান্ডটি নম্বর ও ম্যানেজারের নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেনি। ০১৭১২০৬৮৮৬১ নম্বরে দুইবার ফোন করার পর তৃতীয়বার ফোন দিলে ওই প্রান্ত থেকে রিসিভ করে সমস্যার কথা শুনে বলা হয়, ‘ওরা আমার মানসম্মান খাবে’।
এই বিষয়ে নাজমুল হোসেন চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিলে সেখানে পরিচিত আরো কয়েকজন একই অভিযোগ করেন ফুডপান্ডাসহ আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের খাবার নিয়ে।
এই ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহিনুর আলম বলেন, শুধু ফুডপান্ডা, কুটুমবাড়ি নয়, অনলাইন সার্ভিস যারা দেয় এমন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
এমআরএম/জেডএস