তিনি বলেন, কন্যাশিশুর উন্নয়নের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ, দেশ ও বিশ্ব উপকৃত হয়। আজকের কন্যা শিশুরা ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা বলেন, বাংলাদেশে নারী দারিদ্র্যের হার বেশি। এটা দ্রুতহারে কমিয়ে আনতে হবে। নারীদের বাদ দিয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য সরকার সব উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় শিশুদের বিশেষ করে কন্যাশিশুদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছে। সরকারের ১৫টি মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করছে ৮০ হাজার ১৯০ কোটি টাকার শিশুকেন্দ্রিক বাজেট।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, সরকার কন্যাশিশুদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও উপবৃত্তি দিচ্ছে। ফলে বাংলাদেশে নারী শিক্ষার হার দ্রুততার সঙ্গে বেড়েছে।
কন্যাশিশুর অগ্রযাত্রায় বাল্যবিয়ে সবচেয়ে বড় বাধা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ ও বাল্যবিয়ে নিরোধকল্পে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে। শুধু আইন দিয়ে নয়, সবার সম্মিলিত চেষ্টায় সমাজ থেকে বাল্যবিয়ে দূর করা সম্ভব।
এবারের কন্যাশিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘কন্যাশিশুর অগ্রযাত্রা, দেশের জন্য নতুন মাত্রা’।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুন নেসা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলাম।
আলোচনা শেষে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
জিসিজি/এএ