এতে যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও, তারা বন্দরে যাত্রীদের জন্য সার্বিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
বরিশাল থেকে মেহেন্দিগঞ্জগামী লঞ্চের যাত্রী শাহাজালাল বাংলানিউজকে বলেন, টার্মিনালে প্রবেশের ৫ টাকার টিকিট ১০ টাকা করা হয়েছে।
অপর যাত্রী শাম্মী আক্তার জানান, নদী বন্দরের টার্মিনালে পর্যাপ্ত বসার জায়গা থাকলেও সেগুলোর আশপাশে প্রতিনিয়ত হকাররা দখল করে রাখেন। ফলে যাত্রীরা সেখানে ইচ্ছে করলেই বসতে পারে না। আবার একতলা (অভ্যন্তরীণ) লঞ্চঘাটের আশপাশে কোন টয়লেট নেই, রয়েছে টার্মিনাল ভবনের নিচ তলায়। এ কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
তাদের দাবি টিকিটের ফি যেমন বাড়ানো হয়েছে, তেমনি যেন নদী বন্দরে সেবার মান ও যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে, বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার বাংলানিউজকে জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যৌথ অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) শুল্ক হার-২০০৯ এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্ধারিত প্রবেশ ফি পাঁচ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা আদায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তা শুধুমাত্র বিআইডব্লিউটিএ-্এর কর্মচারীরা যেসব বন্দরে প্রবেশ ফি উত্তোলন করে থাকেন সেসব বন্দরে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আর যেসব বন্দর ইজারা দেওয়া সেখানে পূর্বের পাঁচ টাকাই জনপ্রতি আদায় করবে। ইজারা দেওয়া বন্দরসমূহে ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ টাকা আদায়ের পরিবর্তে ১০ টাকা আদায়ের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
তিনি জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যৌথ অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিআইডব্লিউটিএ শুল্ক হার-২০০৯ এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্ধারিত পাঁচ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা আদায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা আবার মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী ও গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, সারাদেশের ২১টি নৌবন্দরের মধ্যে ১২টি বন্দরে মঙ্গলবার থেকে প্রবেশ ফি যাত্রী প্রতি ১০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/