মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে এক পরিচিতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অ্যাপটির বিভিন্ন দিক দেশীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তুলে ধরে সেভ দ্যা চিলড্রেন ও কলরব।
এসময় জানানো হয়, একটি এলাকায় নাগরিকেরা কী ধরনের সেবা পেতে পারেন, সেসব সেবা কেন্দ্রগুলো কোথায়, সেখানে সেবার বিভিন্ন বিস্তারিত দিক ও সেবা গ্রহণের পর সে সম্পর্কে ফিডব্যাক বা প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবেন অ্যাপটির ব্যবহারকারীরা।
সেভ দ্যা চিলড্রেনের শিশু অধিকার প্রশাসন ও শিশু সুরক্ষা বিভাগের প্রধান আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, একটি এলাকায় নতুন যারা অবস্থান করেন তাদের অনেক সময়েই আশপাশের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে ধারণা থাকে না। কোনো একটি সেবার প্রয়োজন হলে নিজ অবস্থান থেকে সেটি কোথায় পাওয়া যাবে, তার দূরত্ব কত, কী ধরনের সেবা পাওয়া যায় এসব তথ্য পাবেন ব্যবহারকারীরা। আবার যারা সেবা নেবেন তারা অন্যদের জন্য দেবেন রিভিউ, ফিডব্যাক, রেটিং। এসব থেকে নতুন একজন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে, ওই প্ল্যাটফর্ম থেকে তিনি সেবাটি নেবেন কিনা।
আবদুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য তৃণমূল পর্যায়ের বা কিছুটা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যারা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবাটা পায় না। আবার যাদের সেবা অধিকার নিশ্চিত হয় না তাদের ‘ভয়েস’ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি সেতুবন্ধন হবে কলরব। সামাজিক জবাবদিহিতার আওতায় নাগরিক সেবা দেওয়া সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা নিয়ে আসতে চাই।
সেভ দ্যা চিলড্রেনের অ্যাপ্রপ্রিয়েট কেয়ার বিভাগের ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান অ্যাপটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে জানান, ২০১৫ সাল থেকে শুরু হওয়া এ প্রজেক্টে পাওয়া যাবে প্রায় নয় ধরনের সেবার তথ্য। ইতোমধ্যে প্রায় ২৯ হাজার সেবা পয়েন্ট যুক্ত আছে কলরবে। ১৬ হাজারের বেশিবার এটি ডাউনলোড করা হয়েছে গুগল প্লে স্টোর থেকে। প্রায় আট হাজার নিয়মিত ব্যবহারকারী আছেন অ্যাপটির।
সেভ দ্যা চিলড্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত বিনামূল্যে অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য সেবাদানকারী প্ল্যাটফর্ম ও ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত আছে কলরব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৯
এসএইচএস/এএ