মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন বৈঠকে ওই মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। সংস্থাটির দুদকের উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, শিগগিরই দুদকের রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন বাদী হয়ে এ মামলা করবেন।
আরডিএ-এর সাবেক চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার ছাড়াও মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- সংস্থাটির সাবেক এস্টেট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক, হিসাবরক্ষক মো. রুস্তম আলী, উচ্চমান সহকারী মোস্তাক আহমেদ, অবৈধভাবে প্লট গ্রহীতা মো. এনামুল হক, আবু রায়হান শোয়েব আহমেদ সিদ্দিকী, ডা. এস এম খোদেজা নাহার বেগম, ডা. মো. রবিউল ইসলাম স্বপন, মো. মাহফুজুল হক ও মো. খায়রুল আলম।
দুদক সূত্র জানায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০০৬ সালে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) আওতায় চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকার ৮টি বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দের বিষয়ে নিয়ম বহির্ভুতভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে গোপনে সিদ্ধান্ত নেন।
নিয়মনীতি অনুসরণ না করে কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করে ও জালিয়াতির মাধ্যমে পাওয়া ৮টি দরপত্রে উদ্ধৃত দর অনুমোদন করা হয়।
একই সঙ্গে দরদাতাদের অনুকূলে বরাদ্দপত্র প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন আরডিএ চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য আসামিরা। এভাবে আরডিএ-এর সর্বমোট ৫০ দশমিক ৬৭ কাঠা জমি অবৈধভাবে বরাদ্দ দেন তারা।
দুদকের অনুসন্ধানে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৯
এসএমএকে/এমএ