দোকানিরা বলছে, মূলত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হবে না শুনেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছে আড়তদাররা।
সরেজমিন শহরের বিভিন্ন দোকানে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজের নির্দিষ্ট কোনো দাম নেই দোকানগুলোতে।
পেঁয়াজক্রেতা অনিল সিকদার ও আব্দুল আওয়াল বলেন, গত দুই দিন আগেও কেজি প্রতি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা দরে কিনেছি। এখন কিনতে হচ্ছে ১১০ টাকায়। শুধুমাত্র বাইরে থেকে পেয়াঁজ আসবে না শুনেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
অপর দুই ক্রেতা সাইফুল ইসলাম ও মো. শরিফ বলেন, রাতে মিডিয়াতে শুনেছি বাইরে থেকে পেয়াঁজ আসবে না। আর সকালেই এসে দেখি দাম বেড়ে গেছে। এই সুযোগে দোকানি আর আড়তদারদের কাছে যা মজুদ আছে সেগুলোর দাম বাড়িয়ে আমাদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিচ্ছে।
শহরের পলাশ স্টোরের মালিক বিকাশ দেব ও স্থানীয় পেয়াঁজের আড়তদার, চাঁদপুর বাণিজ্যালয়ের মালিক মো. মানিক বলেন, মূলত খাগড়াছড়িতে পেয়াঁজ আসে চট্টগ্রাম ও ফেনী থেকে। সেখান দাম বাড়ালে আমাদের আর কিছুই করার থাকে না। তবে মজুদ থাকার পরও বড় বড় আড়তদাররা বাইরে থেকে পেয়াঁজ আসবে না শুনে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন, এ অভিযোগ সত্য বলে জানান তারা। সার্বিক পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের দিক থেকে পেঁয়াজের চাহিদা কমে গেছে বলেও জানান তারা।
এদিকে পেয়াঁজের অস্বাভাবিক দর ও বাজার ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা তুষার কান্তি চাকমা কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
একই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, যে সমস্ত ব্যবসায়ী পেয়াঁজ মজুদ রেখে দাম বাড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, ০১ অক্টোবর, ২০১৯
এডি/এইচজে