মামলায় নিহতের স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া সংখ্যা ও নামোল্লেখ না করে লিজার শ্বশুর বাড়ির বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, লিজার বাবা আলম মিয়া বাদী হয়ে বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে মহানগরের শাহ মখদুম থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় তার মেয়েকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ জন্য লিজার স্বামী সাখাওয়াত হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া শ্বশুর মাহাবুব আলম খোকন ও শাশুড়ি নাজনিন বেগমকে আসামি করা হয়েছে।
আর নাম ও সংখ্যা উল্লেখ না করে সাখাওয়াতের ভাই-বোন, ভগ্নিপতিসহ শ্বশুর বাড়ির বেশ কয়েজনকে আসামি করা হয়েছ। শাহ মখদুম থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) বণী ইসরাইলকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার এ চাঞ্চল্যকর মামলাটি তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রংপুরের গাইবান্ধা জেলার নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে লিজার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লিজার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্তের পর লিজার মরদেহ বুধবার রাতেই দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে বুধবার সকালে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। শরীরের ৬৩ শতাংশ দগ্ধ হয়ে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে টানা চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেন কলেজছাত্রী লিজা।
*** থানা থেকে বেরিয়ে শরীরে আগুন দেওয়া কলেজছাত্রীর মৃত্যু
** কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় তদন্ত শুরু
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/